ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন কেবল একটি সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া নয়; এটি বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রদল তাদের প্রত্যাশিত প্যানেল ঘোষণা করে একটি আলোচনার সূচনা করেছে।

ডাকসু নির্বাচন: ইতিহাসের নিরিখে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা

ছাত্রদলের প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন ভিপি পদে নominated হয়েছেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও জিএস পদে নominated হয়েছেন মো. জুবায়ের আহমেদ। তাদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন মত ও পথের ছাত্রনেতাদের একটি বড় অংশ, যা এই প্যানেলকে একটি ‘ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম’-এ পরিণত করেছে বলে দাবি করছে ছাত্রদল।

এই প্যানেল ঘোষণা কেবল একটি তালিকা প্রকাশ নয়; এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা। ডাকসু’র মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্লাটফর্মে ছাত্রদল তাদের অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করল। তাদের দাবি, এই প্যানেলের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চায়। শিক্ষার মানোন্নয়ন, ছাত্রদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলাই তাদের প্রধান অঙ্গীকার।

তবে, এই ঘোষণাকে ঘিরে শুধু উৎসাহই নয়, তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্নও। বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো এই প্যানেলকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ ও ‘স্বতঃস্ফূর্ততার অভাব’ বলে সমালোচনা করছে। তাদের দাবি, প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।

ডাকসু নির্বাচন শুধু প্যানেল ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি গণতন্ত্রের চর্চা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ছাত্রসমাজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের একটি মাইলফলক। ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এখন দেখার বিষয়, তাদের এই প্যানেল কতটা গ্রহণযোগ্যতা পায় ছাত্রসমাজের মধ্যে এবং নির্বাচনে তারা কী ধরনের ফলাফল অর্জন করতে পারে।

সবমিলিয়ে, ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা ডাকসু নির্বাচনের রাজনীতিতে নতুন গতিবিধি সৃষ্টি করেছে। এই নির্বাচন কেমন হবে, তা এখন নির্ভর করছে অন্যান্য দলের প্যানেল এবং ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর। সকলের আশা, এই নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে গড়ে উঠবে একটি ছাত্র সংসদ।

Leave a Comment